রাজ্য
মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন শুভেন্দু! কী বলছে রাজনৈতিক মহল

আজকাল ওয়েবডেস্ক: 'জল্পনা আগে থেকেই ছিল, শুভেন্দুবাবু দল ছাড়তে পারেন। আর এটা হওয়ারই ছিল, কারণ ওই দলে থাকার মতো পরিবেশ নেই। আগেই বলেছিলাম, তৃণমূলের মুষলপর্ব শুরু হয়ে গেছে।' শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর বললেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, 'তৃণমূলের শেষের শুরু হল। দলটাই উঠে যাবে। যদি শুভেন্দুবাবু আমাদের দলে যোগদান করতে চান, আমরা সমাদরে তাঁকে গ্রহণ করব। তৃণমূলের সংগঠন বলে কিছু নেই। ওটা একটা মেলা। ওটা একটা সার্কাস পার্টি। মালিক আছেন। ডায়রেক্টর-প্রডিউসার আছেন। বাকিরা কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। যাঁরা কর্মচারী হিসেবে থাকতে চান না, সম্মানের সঙ্গে থাকতে চান, তাঁরা আজ ওই দলে থাকতে পারছেন না।'
বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, 'মমতা ব্যানার্জিকে বহুবার তাঁর ভাইপোর দুর্নীতি ও ভ্রষ্টাচার সম্পর্কে জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
তা নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছিলেন। সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু মমতা ব্যানার্জি তা নিয়ন্ত্রণ করেননি। শুভেন্দুর পদত্যাগেই স্পষ্ট, মমতা সরকারের প্রতি শুধু জনগণই ক্ষুব্ধ নন, তৃণমূলের নেতারাও ক্ষুব্ধ।' মুকুল রায় বলেন, 'শুভেন্দুর পদত্যাগকে আমি স্বাগত জানাই। উনি গণ-আন্দোলনের ফসল। আগামীদিনে যদি উনি আমাদের সঙ্গে আসে, ওনাকে স্বাগত জানাব। এটা বিজেপির পক্ষে ভালো, প্রতিবাদী আন্দোলনের পক্ষে ভালো। সিঙ্গুর গণ-আন্দোলন আমাদের ভুল ছিল। ওভাবে টাটাদের কারখানা করতে না দেওয়ার ফলে বাংলায় নতুন করে আর কোনও কল-কারখানা হয়নি।'
এ বিষয়ে কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি বলেন, 'তৃণমূল দলের জন্য এগুলো সব অশনিসঙ্কেত। ওই দল আগামী দিনে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। এটা তার শুরু। তাই এখনও যাঁরা তৃণমূলে আছেন, তাঁরা ভেবে দেখবেন। কারণ এই দলের অস্তিত্ব শুধু সঙ্কটেই নয়, লোপ হওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেল। তৃণমূলের যে কজন বড় বড় মাথা, তাঁদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী অন্যতম। ওই দলের স্তম্ভগুলি যখন ভাঙবে, তখন আর অট্টালিকা দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না। তৃণমূল-কংগ্রেস নামক মমতা ব্যানার্জির তৈরি অট্টালিকা ধীরে ধীরে ভাঙনের পথে এগিয়ে চলেছে। আগামী দিনে ভস্মীভূত হবে।'