হোম
ভ্যাকসিন নিয়ে অসুস্থ হলে কিভাবে ক্ষতিপূরণ পাবেন ভারত বায়োটেকের তরফ থেকে?

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান কাটিয়ে গতকাল থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি। তবে আশার আলোর মাঝেও অনেকেরই মনে জমেছে আশঙ্কার মেঘ। কারণ, ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়া হলেও সেটির চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল এখনও শেষ হয়নি। একারণে টিকাদানের আগে গ্রহীতার 'অনুমতি' নিতে বাধ্য হচ্ছে প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেক। আর সেই অনুমতিপত্রে প্রতিষেধকটি নেওয়ার পরে শরীরে কোনও রকমের বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছে ভারত বায়োটেক।
ভারত বায়োটেকের পক্ষে জারি করা ওই অনুমতিপত্রে বলা হয়েছে, জরুরি পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রিতভাবে জনস্বার্থে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় বা চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালে থাকা এই প্রতিষেধকটির কার্যকারিতা ক্লিনিকালি প্রতিষ্ঠা হওয়া এখনও বাকি। তবে ভ্যাকসিনটি প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আক্রান্তের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরির ক্ষেত্রে সাফল্য দেখিয়েছে। পাশাপাশি প্রতিষেধকটি নিলেও আগের মতোই কোভিড-১৯ এর অন্যান্য বিধিনিষেধ মানতে হবে বলে জানানো হয়েছে অনুমতিপত্রে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, প্রতিষেধক নেওয়ার পর কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে সরকারি বা সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্র বা হাসপাতালে যথাযথ চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হবে। সমস্যা যদি গুরুতর হয় এবং প্রতিষেধকটির কারণেই যে তা হয়েছে সেটি প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দেবে ভারত বায়োটেক।
অনুমতিপত্রে সই করানোর পাশাপাশি কোভ্যাক্সিন প্রাপকদের হাতে একটি বিবরণপত্র এবং একটি ফর্ম দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেখানে প্রতিষেধক নেওয়ার সাতদিনের মধ্যে জ্বর বা অন্য কোনও উপসর্গ দেখা দিলে তা নথিভুক্ত করে রাখতে বলা হয়েছে টিকাগ্রহীতাদের।