হোম
পাচার,বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রম থেকে মুক্ত করার জন্য লিখিত আবেদন।

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং - গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষে অ্যাকশনএইড কলকাতা অফিস ও তার সহযোগী পার্টনার এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সদস্যদের সাথে একযোগে সমগ্র রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগনা,মালদা,মুর্শিদাবাদ,বীরভূম,পূর্ব মেদনীপুর,কোচবিহার,দক্ষিণ দিনাজপুর,জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদূয়ার এই ৯ টি জেলায় বাল্যবিবাহ,শিশুশ্রম,শিশু নির্যাতন এবং শিশুপাচার মুক্ত গ্রাম গড়ে তোলার জন্য এক সপ্তাহ ধরে কর্মসূচি অভিযান শুরু করেছে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবনের অন্যতম সিংদূয়ার ক্যানিং। এই ক্যানিং মহকুমা এলাকায় রয়েছে ক্যানিং ১ ও ২,বাসন্তী,গোসাবা ব্লক।প্রতিবছরই এই মহকুমা থেকে দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে পাচারকারীরা পাচার কাজে সক্রিয় হয়ে ওঠে।পাশাপাশি নাবালক নাবালিকা বিয়ে প্রায় প্রতিনিয়ত সকলের অগোচরে হয়ে চলেছে।
এছাড়াও ক্যানিং মহকুমা এলাকায় প্রতিদিনই শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
গত ২ অক্টোবর ক্যানিং মহকুমার ক্যানিং ২ ব্লকের তাম্বুলদহ ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কিশোর কিশোরীরা শিশু সুরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা কে অগ্রাধিকারের মধ্যে রাখার এবং তাদের গ্রাম কে বাল্যবিাহ,শিশুপাচার কিংবা শিশুশ্রম থেকে মুক্ত মুক্ত করার জন্য লিখিত আবেদন জানালেন পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে।তারা প্রধানের কাছে আবেদন করে বলে 'তাদের এই বার্তাটি জেলা পর্যায়ে সকল সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নজরে যেন আনা হয়'।
জানাগেছে এই আবেদনের মাধ্যমে তারা করোনা মহামারী পরবর্তী পরিস্থিতিতে তাদের গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী অন্যান্য গ্রামে যে সঙ্কট সে সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পঞ্চায়েত প্রধান সুভাষ পুরকাইত ও রমজান মোল্লা। তাদের উপলব্ধি হয়েছে যে,এই করোনা মহামারী সঙ্কটকালে বাল্যবিবাহ,শিশুশ্রম বা মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। এই কিশোর কিশোরীরা তাদের পঞ্চায়েতের কাছে গ্রামসভার বৈঠকে এই বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। পাশাপাশি তাদের গ্রাম্যস্তরের যে শিশু সুরক্ষা কমিটি আছে তা শক্তিশালিকরণে সমর্থন করার জন্য পঞ্চায়েতের কাছে আবেদন করেছে। কিশোর কিশোরীদের এই ভাবনাটিকে বাস্তবে রুপদিতে সহায়তা করছেন 'বাগমারী মাদার এন্ড চাইল্ড ভেভলপমেন্ট মিশন' নামক একটি সংস্থা।
সংস্থার পক্ষে জানানো হয়েছে ইতি মধ্যে ৬০ জন কিশোর কিশোর গ্রামঞ্চায়েতে আবেদন করছেন। তাদের আবেদনের ভিত্তিতে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে শিশু সুরক্ষা শক্তিশালি করতে প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে শিশু সুরক্ষা কমিটি গুলো সক্রিয় করতে তাদের এই উদ্যোগ অনির্দিষ্টকালের জন্য জারী থাকবে।'