হোম
মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে ভাষণ না দিতেই আচমকা সভায় উঠে এল 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান, চরম অসন্তোষ প্রকাশ তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের

ইউবিজি নিউজ ব্যুরো : কথা ছিল ভিক্টোরিয়ার অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি বক্তব্য রাখবেন মমতা। কিন্তু তাল কাটল শুরুতেই। ওই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এর পরের বক্তা হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে নেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক। তখনই আচমকা সভায় উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে থেকে উঠে এল 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান। ওই ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে ভাষণ না দিতেই কার্যত সরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ তৃণমূল।
এদিন ওই ঘটনার পরেই টুইটারে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকীর সরকারি অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক স্লোগান ওঠার তীব্র বিরোধিতা করেন।
এই ঘটনার পরেই অভিনেত্রী তাঁর টুইটারে লেখেন, সরকারি মঞ্চে যেভাবে রাজনৈতিক স্লোগান ব্যবহার করা হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানানো ছাড়া আর কোনও ভাষা নেই। শুধু নুসরত-ই নয়, ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফেও। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, যেভাবে নেত্রীর অপমান করা হয়েছে তা ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে ওদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষে এদিন ভিক্টোরিয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দু-জনে একসঙ্গেই প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সময়ও পাশাপাশি বসেছিলেন মমতা-মোদী।
তারপর ভিক্টোরিয়াতে সরকারি মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে বক্তব্য রাখার জন্য আহ্বান করতেই দর্শকাসন থেকে উঠল 'জয় শ্রী রাম'স্লোগান। স্বাভাবিকভাবেই তাতে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন মমতা। একেবারে সরকারি মঞ্চে উঠে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মোদীর সামনেই। মঞ্চে উঠে মমতা বলেন, 'এটা সরকারি অনুষ্ঠান, কোনও রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান নয়।'
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ যে তাঁরা কলকাতায় এরকম একটি অনুষ্ঠান করেছেন। কিন্তু, এভাবে কাউকে আমন্ত্রণ করে অপমান করা উচিত্ নয় বলে মন্তব্য করেছেন মমতা। একথা বলেই মঞ্চ ছাড়েন তিনি। এই ঘটনায় তিনি যে চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন তা স্পষ্ট ছিল মুখ্যমন্ত্রী শরীরী ভাষায়।